অভ্যাস বনাম অধ্যবসায় -- অভ্যাস মানুষের দাস!/মানুষ অভ্যাসের দাস!
অভ্যাস মানুষের দাস!
মানুষ অভ্যাসের দাস!
মানুষ অভ্যাসের দাস!
দুইটি বাক্যই একই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে।একজন সফল মানুষের অন্যতম গুণ অভ্যাস।
প্রথমে মানুষই অভ্যাসের স্থপতি।পরবর্তীতে মানুষই অভ্যাসের ক্রীতদাস!
অভ্যাসের সাথে যুদ্ধ করাটা পরিশ্রমী মানুষের কর্ম।
লক্ষ্য করে দেখবেন- আমরা প্রতিদিন একই কাজ করে যাচ্ছি।কেন একই কাজ বারবার করে ফেলছি!!!!!
কারণ--- অভ্যাসই আমাদের স্বাভাবিক কাজকে প্রভাবিত করছে!যে অভ্যাসটা প্রথমে মানুষের দাস ছিল পরবর্তী তে মানুষই অভ্যাসের দাস হয়ে যাই!
সফল হতে হলে আগে নিজের কর্মের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরী।কর্ম অভ্যাস দ্বারা প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রিত।
অভ্যাসকে 2 শ্রেণিতে বিভক্তি করা হয়েছে।
ইতিবাচক অভ্যাস এবং নেতিবাচক অভ্যাস।
ইতিবাচক অভ্যাসে একজন মানুষ সফলতার দিকে ধাবিত হয়। নেতিবাচক অভ্যাসে একজন মানুষ ধ্বংসের দিকে অগ্রসর করে।
চারপাশে একটু লক্ষ্য করে দেখবেন-কিছু ব্যক্তি প্রতিনিয়ত ভাগ্যকে দায়ী করছে।ভাগ্য অবশ্যই বিদ্যামান কিন্তু ভাগ্যের বেড়াজালের মধ্যেও কিছু ব্যক্তি ভাল পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং কিছু ব্যক্তি একই ভুলের পুনারাবৃত্তি করছে। এটাই হলো অভ্যাস।একটি অভ্যাস তৈরী করা জমি চাষ করার মতো এতে সময় লাগে,পরিশ্রম লাগে।এক অভ্যাস থেকে আর এক অভ্যাসের জন্ম হয়।
ইতিবাচক অভ্যাস তৈরী করতে যতটুকু অধ্যবসায়ের প্রয়োজন ;খারাপ অভ্যাস থেকে পরিত্রাণ পেতে তার চেয়েও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন।
ভাল কিছু করতে হলে ভাল অভ্যাস তৈরী করা উচিত।
কিছু কিছু অভ্যাস কিছু কিছু মানুষকে গ্রাস করে নিয়েছে।
যেটা মুক্তির চেষ্টা তার দ্বারা অসম্ভব!
তবুও সু-অভ্যাস তৈরীর জন্য দৃঢ় সংকল্প প্রয়োজন।সু-অভ্যাসই পারে কু-অভ্যাস থেকে একজন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে মুক্তি দিতে।
আমদের দৃষ্টিভঙ্গিটাও অভ্যাসের দ্বারা তৈরী।অভ্যাস মানুসিক অবস্থার বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
অভ্যাস চরিত্র গঠন করে।

No comments